প্রথমে গত সপ্তাহের ঘটনাবলির পর্যালোচনা :
- ইউরো/ মার্কিন ডলার। 40 শতাংশ বিশ্লেষক অনুমান করেছিলেন এই জোড়াটির বিকাশ ঘটবে 1.1900 অঞ্চলে এবং সেটাই ঠিক হয়েছে : স্থানীয় সাপ্তাহিক উচ্চতা ছিল 1.1880, এবং পাঁচদিনের পর্ব শেষ হয়েছে 1.1860-তে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শক্তিশালী ম্যাক্রো পরিসংখ্যানের পাশাপাশি ওল্ড ওয়ার্ল্ডে কোভিড-19 সংক্রমিতের ব্যাপক বৃদ্ধি, 21 অক্টোবরে জোড়াটির প্রবণতা বিপরীতগামী করেছিল। কিন্তু তারপর ইউরোপ, জার্মানির সঙ্গে, ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ বৃদ্ধি করেছে দেখা গেছে। এটি ইউরোপিয়ান কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (কিউই) কর্মসূচির গঠনের সুযোগ এবং বন্ড মূল্যের আরও বিকাশ হ্রাস করেছিল, যা জোড়াটিকে এর সাপ্তাহিক উচ্চতায় ফিরতে দিয়েছে। - জিবিপি/মার্কিন ডলার। এক-তৃতীয়াংশ বিশ্লেষকের আশা ছিল যে ঊর্ধ্ব প্রবণতা শেষ হয়েছে এবং জোড়াটি যাবে সাইডওয়ে মুভমেন্টে কিন্তু সেটা সত্যি হয়নি : এটি ফের উত্তরে গিয়েছিল, রেজিস্ট্যান্স থেকে সাপোর্টে এটি ঘুরেছিল 1.2845-1.3035-এর সাইডওয়ে চ্যানেলের ঊর্ধ্বসীমায়।
যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বোঝাপড়া চালিয়ে গিয়েছিল, গত সপ্তাহের শেষ থেকে যে জায়গায় তারা দাড়িয়েছিল সেই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু তারপর... ফের তারা এতে আঘাত হানে। এর ফলে, জোড়াটি উপরে গিয়েছিল, কিন্তু 1.3175 উচ্চতায় পৌঁছনোর পর এটি বিপরীত দিকে ঘুরে যায়। এর ফলে যুক্তরাজ্যের পরিষেবা ক্ষেত্রে মার্কিট পিএমআই-এর পতন ঘটে 52.3 থেকে 56.1-এ।
সপ্তাহের শেষ মাত্রা ছিল 1.3045। এর অর্থ 5 দিনে 130 পয়েন্ট অর্জন করেছিল পাউন্ড, এবং বিনিয়োগকারীরা এখনও আশা করেন যে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ব্রেক্সিট নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারবে। যদিও মূল কারণ, অবশ্যই, পাউন্ডের শক্তিশালী হওয়া নয়, বরং ডলার দুর্বল হওয়া। - মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই। স্মরণ করা যেতে পারে যে 30 শতাংশ বিশ্লেষক গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিসের সঙ্গে আশা করেছিলেন যে জোড়াটি 105.00 দিগন্ত থেকে ফিরবে এবং উঠবে 106.00 রেজিস্ট্যান্সে। এবং তাঁরা সঠিক : জোড়াটি মঙ্গলবার 20 অক্টোবর পৌঁছেছিল 105.75 উচ্চতায়।
বাকি 70 শতাংশ বিশেষজ্ঞ, যাঁদের সমর্থন করেছিলেন D1-এ 75 শতাংশ অসিলেটর ও 90 শতাংশ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর, দাবি করেছিলেন যে মার্কিন ডলার/জেপিআই জোড়া সক্ষম হবে 21 সেপ্টেম্বরের নিম্ন 104.00-এ পৌঁছতে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য। এবং তাঁরা ভুল করেননি : বুধবার, 21 অক্টোবর, জোড়াটি এসেছিল স্থানীয় নিম্ন 104.33-এ, তারপর একটু উঠে শেষ করে 104.70-এ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এরকম তীক্ষ্ণ বিপরীতগামিতা এবং 105.75 উচ্চতা থেকে 104.33-এ পতন ছিল ডলারের সাধারণ দুর্বলতার একটি প্রতিক্রিয়া, সর্বপ্রথমে, চীনা য়ুয়ানের তুলনায় এর ক্ষয়। যখন সাপোর্ট 105.00 ভেঙে পড়ে তখন স্টপ-লস অর্ডারের বিশাল চাপ আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছিল। - ক্রিপ্টোকারেন্সি। অবশেষে! বিটকয়েন অতিক্রম করল 12000 ডলারের স্তর এবং এমনকি ধাক্কা দিয়েছে 13200 ডলারের উচ্চতায়। আর বিশ্লেষক সংস্থা ক্রিপ্টোকোয়ান্ট-এর সিইও কি ইয়োং জু, অনুমান করেছিলেন, এই বৃদ্ধি কয়েনের বিশাল সেল-অফে নিয়ে যাবে না। এটাই সেই আশার পেছনে যুক্তি দিয়েছে যে মূল ক্রিপ্টোকারেন্সি সক্ষম হবে এই অঞ্চলে পা রাখতে।
2020-এর শুরু থেকে বিটকয়েন প্রায় ৮০ শতাংশ বিকশিত হয়েছে। অ্যানালিটিক্যাল সার্ভিস গ্লাসনোডের মতে, 100 বিটিসি সংগ্রহে রয়েছে এবং ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে 16159-এ, যা ছয় মাসে সর্বাধিক মান। শূন্য-নয় এমন ব্যালান্সধারী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় 32 মিলিয়ন।
আরেকটি অ্যানালিটিক্যাল এজেন্সি, দ্য ব্লক-এর মতে, ওয়ালেটের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের সংখ্যা এবং বিটিসি ব্লকচেনে কমিশনের পরিমাণ বাড়ছে। গত ত্রৈমাসিকে, এই নেটওয়ার্কে লেনদেনের মূল্য ছিল 225 বিলিয়ন ডলার। যা হল, গড়ে, প্রতিদিন ব্যবহারকারীরা 2.4 বিলিয়ন লেনদেন করেছেন। চার মাস আগে, লেনদেনের গড় ছিল 25000 ডলার, কিন্তু 20 অক্টোবরে এটি 6 গুণ লাফিয়ে পৌঁছয় 150000 ডলারে।
গত সপ্তাহে, বিটকয়েনের লাভ চালিত হয়েছে একটি খুব ইতিবাচক খবরের প্রেক্ষিতে। স্কোয়ার, মাইক্রোস্ট্র্যাটেজি, স্টোনরিজ ও মোড গ্লোবাল হোল্ডিংসের মতো বড় সংস্থামূলক বিনিয়োগকারীরা বিটকয়েনে ঘুরেছে। এবং খবর হল, পেমেন্ট জায়েন্ট পেপল-ও এর পরিষেবার মধ্যে যুক্ত করেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা ও বেচার সুবিধা, যার অন্তর্ভুক্ত বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন ও বিটকয়েন ক্যাশ, যা অবশ্যই হবে ‘সোনায় সোহাগা’।
এর ফলে, সাত দিনে বেঞ্চমার্ক কয়েন উঠেছিল 13.5 শতাংশ, এর সঙ্গে টেনে নিয়েছিল সমগ্র ক্রিপ্টো মার্কেটকে, মোট ক্যাপিটালাইজেশন বৃদ্ধি হয়েছিল 357 বিলিয়ন ডলার থেকে 390 বিলিয়ন ডলারে। ক্রিপ্টো ফিয়ার অ্যান্ড গ্রিড ইনডেক্স নিরপক্ষে হলুদ অঞ্চল থেকে বৃদ্ধি পেয়েছিল স্কেলের শেষ ত্রৈমাসিকের সীমানায়, পৌঁছেছিল 74-এর মানে। মনে রাখতে হবে যে 75 থেকে 100 পরিধিকে সূচকের ডেভেলপাররা আখ্যা দেয়ে ‘আকুল আকাঙ্ক্ষা’ রূপে, যা বিটিসি মার্কিন ডলার জোড়ার অতিরিক্ত ক্রয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এর সংশোধন ঢেকে দিয়েছে।
আগামী সপ্তাহের অনুমানের ক্ষেত্রে, বেশকিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞের মতামতের সংক্ষেপের পাশাপাশি টেকনিক্যাল ও গ্রাফিক্যাল বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতির ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি :
- ইউরো/মার্কিন ডলার। যদি আপনি মৌলিক বিশ্লেষণের পাঠ্যবই অনুসরণ করেন, ম্যাক্রোইকোনমিক পরিসংখ্যা হল ভিত্তি, মৌলিক গুরুত্বের। যদিও, যখন এই বই লেখা হয়েছিল তখন করোনা ভাইরাস অতিমারি ছিল না। এবং এখন এটা আছে। এবং এটা যে কোনো অনুমানকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
অন্যদিকে, ইউরোপের সূচি উন্নতির দিকে যাচ্ছে, জার্মানি ও ফ্রান্স একটি নতুন ‘রেকর্ড-বিরোধী’ স্থাপন করেছে 22 অক্টোর, বৃহস্পতিবার, সংক্রমিত মানুষের সংখ্যার জন্য। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে স্পেন দেখতে চলেছে অসুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা 1 মিলিয়ন অতিক্রম করছে, এসবই ইউরোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। কোভিড-19 জোগানের পাশাপাশি চাহিদাতেও ধাক্কা দিয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পরিস্থিতি একইরকম। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যাচ্ছে রেকর্ড স্তরে। কিন্তু একই সময়ে, দেশের কর্তৃপক্ষ নতুন কোয়ারান্টাইন বিধিনিষেধ আরোপ করতে চায় না যাতে আর্থিক ক্রিয়াকলাপ বজায় থাকে। আর, বাজারের মেজাজও নির্ভর করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, 3 নভেম্বর, ফলাফলের ওপর।
ডয়েশ ব্যাংকের মর্গান স্ট্যানলি ও জেপি মর্গানের মতে, জো বাইডেনের জয় হ্রাস করবে প্রতিরক্ষামূলক মার্কিন নীতির নতুন ঢেউকে এবং এই জোড়াকে যেতে হবে 1.2000-এ। আর যদি ফের ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হন, তাহলে বাণিজ্য যুদ্ধের নতুন রাউন্ড শুরু হবে, যা বিকশিত হবে এবং ইউরো/মার্কিন ডলার জোড়ার পতন ঘটবে সেপ্টেম্বরের নিম্নে, 1.1600 অঞ্চলে।
এদিকে, বাইডেনের জয়ের সম্ভাবনা বেশি এই সত্য সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা ডলার থেকে নিষ্কৃতি পেতে তাড়াহুড়ো করছেন না, কারণ তাঁরা মনে রেখেছেন কীভাবে, অনেকের জন্য অপ্রত্যাশিত, 2016 সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়েছিলেন। এবং এটা ফের ঘটতে পারে।
নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কিত চিন্তাভাবনা জারি থাকবে 3 নভেম্বরের পরেও, কারণ এটাকে হয়তো চ্যালেঞ্জ করা হবে, বিশেষ করে যাঁরা ইমেলে ভোট দিয়েছেন, এবং ইলেক্টোরাল কলেজ মিলিত হবে 14 ডিসেম্বর।
এখন আগামী সপ্তাহের অনুমান। তালিকাভুক্ত অনিশ্চয়তার ফলে বিশ্লেষকরা কোনো একটি দিকে দ্বিধাহীনভাবে ইঙ্গিত দিতে পারছেন না। যদিও, তাঁদের 75 শতাংশ এই সম্ভাবনা বাতিল করেননি যে ইউরো/মার্কিন ডলার জোড়া অন্তত 1.1900 স্তরে উঠবে। এইসঙ্গে, H4 ও D1-এ 100 শতাংশ ইন্ডিকেটর ও 85 শতাংশ অসিলেটরের রং সবুজ।
বাকি ১৫ শতাংশ অসিলেটর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এই জোড়া অতিরিক্ত ক্রীত। এর পতন সমর্থন করেছেন 25 শতাংশ বিশেষজ্ঞ, যাদের সমর্থন করেছে উভয় সময়সীমার গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিস। সাপোর্ট লেভেল হল 1.1800, 1.1760 ও 1.1700। চরম লক্ষ্য, আগেই বলা হয়েছে, হল 1.1600।
আগামী সপ্তাহের ঘটনার ক্ষেত্রে বলা যায়, বিশেষ মনোযোগ অবশ্যই দেওয়া উচিত বৃহস্পতিবার, 29 অক্টোবর ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের বৈঠকের ওপর, এবং বিশেষ করে এর কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সাংবাদিক সম্মেলনে, যা সেদিনই বিকেলে হবে। মার্কিন জিডিপি-র ডেটা যা প্রকাশ পাবে 29 অক্টেবার, এবং ইউরোজোন জিডিপি প্রকাশ পাবে একদিন পর, শুক্রবার, 30 অক্টোর, এগুলিও স্থানীয় প্রবণতার গঠনে প্রভাব ফেলতে পারে। - জিবিপি/মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক অংশ (90 শতাংশ), যাদের সমর্থন করেছে D1-এ গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিস ও ট্রেন্ড ইন্ডিকেটররা, বিশ্বাস করেন যে এই জোড়াটি 1.2845-1.3035 থেকে আরও উঁচুতে 1.3000-1.3175 যাবে। যদিও এই ভবিষ্যদ্বাণী খুব অল্প সময়ের, এবং এর পরবর্তী আচরণ নির্ধারিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের ওপর, আটলান্টিক মহাসাগরের উভয় দিকে অতিমারি পরিস্থিতি এবং অবশ্যই ব্রেক্সিটের মেয়াদ নিয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের বোঝাপড়ায়। যদি দুপক্ষই দেখায় যে চুক্তি থেকে প্রত্যাহার ঘটবে না, সেটা পাউন্ডের হারে সুবিধাযুক্ত প্রভাব ফেলবে। এই বিষয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট হওয়া উচিত নভেম্বরের মাঝামাঝি, কোভিড-19 প্রধান ভূমিকা চালিয়ে যাবে, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির ওপর সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বিশেষ করে আর্থিক ক্রিয়াকর্মে।
এটা খেয়াল রাখতে হবে যে যখন সাপ্তাহিক থেকে মাসিক অনুমানে যাওয়া হয়, চালচিত্র দ্রুত বদলায়, এবং এখানে D1-এ গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিস এবং বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশ (60 শতাংশ) আশা করেন জোড়াটি ওঠার চেয়ে নীচে যাবে বেশি : প্রথমে 1.2860 স্তরে এবং তারপর আরও 100 পয়েন্ট নীচে।
- মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই। আমরা অপেক্ষা করছি ব্যাংক অব জাপানের সুদের হারের সিদ্ধান্ত এবং আর্থিক নীতি নিয়ে এর ম্যানেজমেন্টের মন্তব্যের জন্য, যা হবে আগামী সপ্তাহে, 29 অক্টোবর। কিন্তু বরাবরের মতো, আমরা তাদের থেকে কোনো চমক আশা করি না, এবং হার থাকবে খুব সম্ভবত সেই একই নেতিবাচক স্তরে, বিয়োগ 0.1 শতাংশ।
আরও কৌতূহলকর হল নিরাপদ স্বর্গ কারেন্সি রূপে ডলার ও ইয়েনের মধ্যে দড়ি টানাটানি। এবং এখানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাক্-নির্বাচন এবং অতিমারি ঝঞ্ঝাটের প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা জাপানি কারেন্সিকে বেশি থিতু মনে করছেন। এই পরিস্থিতি সমর্থন করেছে D1-এ 90 শতাংশ অসিলেটর ও 100 শতাংশ ট্রেন্ড ইন্ডিকেটর।
দ্রষ্টব্য যে 2016 সালে শুরু হয়ে মার্কিন ডলার/জেপিওয়াই জোড়ার সাতবার 105.00-এর নীচে পতন ঘটল। যদিও, বরাবরই এটা সেখানে ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য, তারপর এটা ফিরে গিয়েছিল চিহ্নের উপরে। এই প্রশ্ন এখনও খোলা যে এবার কী ঘটবে। যদিও, মাঝারি মেয়াদে, 60 শতাংশ বিশেষজ্ঞ এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি যে জোড়াটি হয়তো 104.00-এর সাপোর্ট অতিক্রম করবে এবং এমনকি যাবে নীচে 102.00-103.00 অঞ্চল পর্যন্ত।
D1-এ গ্রাফিক্যাল অ্যানালিসিস পরবর্তী তিন সপ্তাহের ভেতরে একটি সাইডওয়ে মুভমেন্ট এঁকেছে 104.00-105.55 চ্যানেলে। - ক্রিপ্টোকারেন্সি। শুক্রবার, 23 অক্টোবর সন্ধ্যায় বিটিসি/মার্কিন ডলার জোড়া ছিল 12860 ডলার অঞ্চলে – একটি নতুন স্থানীয় সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স স্তর। যদি বিটকয়েন 12800 ডলারের উপরে থাকতে পারে, এটি প্রতিশ্রুতি দেয় আড়াই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক বৃদ্ধি এবং অফার করে ঐতিহাসিক উচ্চতা 20000 ডলারের আশপাশে। পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হল 19 জুলাইয়ের উচ্চতা 13760 ডলার পরখ করা।
এখন বিটকয়েনের ঊর্ধ্বগতি চালিত হচ্ছে অতিমারি দ্বারা, মানিটারি প্রিন্টিং প্রেস যে বেশ কয়েক ট্রিলিয়ন ফিয়াট বেরিয়ে আসছে এবং বিশাল সংস্থামূলক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা। সেজন্য, মর্গান ক্রিক ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট ফার্মের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্থনি পম্পলিয়ানো মূল ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাকুমুলেশন বৃদ্ধি করেছেন 50 শতাংশ থেকে 80 শতাংশে।
সংস্থামূলক বিনিয়োগকারীদের বিটিসি অ্যাকুমুলেটেড কিনতে চুক্তির সংখ্যা পৌঁছেছে সর্বকালের সেরা উচ্চতায়, বলেছে শিকাগো মার্কান্টাইল এক্সচেঞ্জ (সিএমই)। যদিও, কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (সিওটি) রিপোর্ট অনুযায়ী, হেজ ফান্ডের কাছে বিটকয়েন বিক্রির কম চুক্তি নেই। বেশকিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞের বিশ্বাস যে হেজ ফান্ড এটা করেছে সংস্থামূলক বিনিয়োগকারীদের জন্য পর্যাপ্ত লিকুইডিটি দিতে।
জনপ্রিয় টিভি সঞ্চালক ও বিটকয়েনের দীর্ঘদিনের সমর্থক ম্যাক্স কাইজার এই সংস্করণে সম্মত হয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস যে বর্তমান স্তরে, বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ ট্রেডাররা বিটিসি-র মূল্য শ্লথ করছে সংস্থামূলক প্লেয়ারদের ‘ঝোলা ভর্তি’র সুযোগ দিতে। যদিও, একবার এই সম্পদ 28000 ডলারে পৌঁছলে (যে বেঞ্চমার্ক কাইজার সেট করেছেন), বিক্রির জন্য কয়েনের সংখ্যা পৌঁছবে শূন্যে, এবং এই ঘাটতিকে ধ্যবাদ, তাদের মূল্য বিস্ফোরিত হবে কসমিক উচ্চতায়।
কাইজার বলেছেন, ‘বিটিসি-র বর্তমান মূল্য এবং লভ্যতা এই পৃথিবীর গরিবদের জন্য, জীবনে এটাই একমাত্র সুযোগ অলাভজনক হার্ডমানি কেনার এর মূল্য 40-80 গুণ বৃদ্ধি হওয়ার আগে এবং মূল্য পৌঁছবে গোল্ডেন প্যারিটির স্তরে, মোটামুটি 400000 ডলারে।’
আগামী মাসগুলির অনুমানে ফিরলে আমরা লগ্নি সংস্থা জেনা ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের সিইও আন্তন ক্রাভেচঙ্কোর মতামত তুলে ধরতে পারি, সেই অনুযায়ী বিটিসি/মার্কিন ডলার জোড়ার মূল্য এবছরের শেষে 14000 ডলারে পৌঁছবে। এই অনুমানে সহমত হয়েছেন 65 শতাংশ বিশেষজ্ঞ। সত্য হল যে এই জোড়ার পতন ঘটতে পারে 9000 ডলারে যা এক সপ্তাহ আগে বলেছেন 25 শতাংশ বিশ্লেষক, এখন তাঁদের সংখ্যা কমেছে 15 শতাংশে। বাকি 10 শতাংশ নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছেন।
নর্ডএফএক্স অ্যানালিটিক্যাল গ্রুপ
বিজ্ঞপ্তি : এসব তথ্য আর্থিক বাজারে কাজের জন্য বিনিয়োগ বা পরামর্শ হিসেবে কোনো সুপারিশ নয় : এগুলি একমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে। আর্থিক বাজারে ট্রেডিং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং এর ফলে ডিপোজিটকৃত ফান্ডের পরিপূর্ণ ক্ষতি হতে পারে।
ফিরে যান ফিরে যান